কেউ কেউ দুধবিহীন কালো কফি, যা 'র্যান্যাক কফি' নামে পরিচিত সেটি খেতে পছন্দ করেন। তবে গরম পানিতে দুধ এবং চিনি মিশিয়ে যে কফি তৈরি করা হয় সেটিই বিশ্বব্যাপী প্রিয় পানীয়। অনেকেই পছন্দ করেন ঠাণ্ডা কফি!
আমাদের অনেকের পানীয় তালিকায় রয়েছে কফির নাম। কিন্তু এই কফি আবিষ্কারের কাহিনী অনেকেরই অজানা। বহু শতাব্দী আগে আরবের এক মেষপালক খেয়াল করলেন, তার মেষগুলো অদ্ভুত আচরণ করছে। কারণ কি? তারা আসলে সবুজ এক প্রকার উদ্ভিদের লাল ফল খেয়ে লাফাচ্ছে। ছোট শাবকদের মতোই দুষ্টুমি শুরু করেছে। এটা দেখে মেষপালক নিজে ওই ফল খেয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল। খাওয়ার পর নিজেকে তার ওই মেষদের মতোই প্রাণবন্ত ও চাঙ্গা মনে হলো। তার এ অভিজ্ঞতা সে পার্শ্ববর্তী মঠের সন্ন্যাসীকে জানাল। ওই সন্ন্যাসীও যখন সেই ফল খেল তখন সেও একই রকম অভিজ্ঞতা লাভ করল। ওই ঘটনা তারা গ্রামবাসীকে বলল এবং যারা ওই ফল খেল তারা প্রত্যেকেই এক অদ্ভুত সতেজ অনুভূতি আস্বাদ করল। এই লাল ফলগুলো ছিল আসলে কফির ফল। এ কাহিনীর সত্যাসত্য নির্ণয় করা কঠিন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সর্বপ্রথম কফি পান শুরু হয়েছিল আরবে। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে ব্রিটেনে এ প্রথা ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৬৫০ সালে অক্সফোর্ডে পৃথিবীর সর্বপ্রথম 'কফি হাউস' খোলা হয়। ধীরে ধীরে কফি পান সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চিরহরিৎ এক প্রকার উদ্ভিদের বীজ থেকে কফি পাওয়া যায়। চারাগাছগুলোর বয়স যখন ৩-৪ মাস তখন তাতে ফুল ধরে। এর কাঁচা ফলগুলোর রং হয় সবুজ। ৫-৬ মাস পর ফল পেকে লাল রং ধারণ করে। ফলের বীজগুলো প্রথমে ঝলসে নিয়ে পরে গুঁড়া করা হয়। বাজারে যে কফি পাউডার পাওয়া যায় তা আসলে কফি ফলের বীজেরই গুঁড়া। কফির প্রস্তুতি নানা রকম হতে পারে। কেউ কেউ দুধবিহীন কালো কফি, যা 'র্যান্যাক কফি' নামে পরিচিত সেটি খেতে পছন্দ করেন। তবে গরম পানিতে দুধ এবং চিনি মিশিয়ে যে কফি তৈরি করা হয় সেটিই বিশ্বব্যাপী প্রিয় পানীয়। অনেকেই পছন্দ করেন ঠাণ্ডা কফি! এক কাপ কফিতে সাধারণত ১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন হচ্ছে এক ধরনের সতেজকারী উত্তেজক। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত কফি পান করলে নিদ্রাহীনতার আশঙ্কা থাকে। ব্রাজিল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদন করে। কফি উৎপাদনে কলম্বিয়ার স্থান দ্বিতীয়। এছাড়া আফ্রিকা, আমেরিকা ও এশিয়ার নানা দেশে কফি উৎপাদিত হয়।
নবাব আমিন
আমাদের অনেকের পানীয় তালিকায় রয়েছে কফির নাম। কিন্তু এই কফি আবিষ্কারের কাহিনী অনেকেরই অজানা। বহু শতাব্দী আগে আরবের এক মেষপালক খেয়াল করলেন, তার মেষগুলো অদ্ভুত আচরণ করছে। কারণ কি? তারা আসলে সবুজ এক প্রকার উদ্ভিদের লাল ফল খেয়ে লাফাচ্ছে। ছোট শাবকদের মতোই দুষ্টুমি শুরু করেছে। এটা দেখে মেষপালক নিজে ওই ফল খেয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল। খাওয়ার পর নিজেকে তার ওই মেষদের মতোই প্রাণবন্ত ও চাঙ্গা মনে হলো। তার এ অভিজ্ঞতা সে পার্শ্ববর্তী মঠের সন্ন্যাসীকে জানাল। ওই সন্ন্যাসীও যখন সেই ফল খেল তখন সেও একই রকম অভিজ্ঞতা লাভ করল। ওই ঘটনা তারা গ্রামবাসীকে বলল এবং যারা ওই ফল খেল তারা প্রত্যেকেই এক অদ্ভুত সতেজ অনুভূতি আস্বাদ করল। এই লাল ফলগুলো ছিল আসলে কফির ফল। এ কাহিনীর সত্যাসত্য নির্ণয় করা কঠিন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সর্বপ্রথম কফি পান শুরু হয়েছিল আরবে। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে ব্রিটেনে এ প্রথা ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৬৫০ সালে অক্সফোর্ডে পৃথিবীর সর্বপ্রথম 'কফি হাউস' খোলা হয়। ধীরে ধীরে কফি পান সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চিরহরিৎ এক প্রকার উদ্ভিদের বীজ থেকে কফি পাওয়া যায়। চারাগাছগুলোর বয়স যখন ৩-৪ মাস তখন তাতে ফুল ধরে। এর কাঁচা ফলগুলোর রং হয় সবুজ। ৫-৬ মাস পর ফল পেকে লাল রং ধারণ করে। ফলের বীজগুলো প্রথমে ঝলসে নিয়ে পরে গুঁড়া করা হয়। বাজারে যে কফি পাউডার পাওয়া যায় তা আসলে কফি ফলের বীজেরই গুঁড়া। কফির প্রস্তুতি নানা রকম হতে পারে। কেউ কেউ দুধবিহীন কালো কফি, যা 'র্যান্যাক কফি' নামে পরিচিত সেটি খেতে পছন্দ করেন। তবে গরম পানিতে দুধ এবং চিনি মিশিয়ে যে কফি তৈরি করা হয় সেটিই বিশ্বব্যাপী প্রিয় পানীয়। অনেকেই পছন্দ করেন ঠাণ্ডা কফি! এক কাপ কফিতে সাধারণত ১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন হচ্ছে এক ধরনের সতেজকারী উত্তেজক। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত কফি পান করলে নিদ্রাহীনতার আশঙ্কা থাকে। ব্রাজিল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদন করে। কফি উৎপাদনে কলম্বিয়ার স্থান দ্বিতীয়। এছাড়া আফ্রিকা, আমেরিকা ও এশিয়ার নানা দেশে কফি উৎপাদিত হয়।
নবাব আমিন
মুলসুত্র: এখানে
No comments:
Post a Comment