Sunday, January 2, 2011

পিগমিরা খাটো কেন?


কঙ্গো উপত্যকা ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে মধ্যাহ্নে সূর্যরশ্মি প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। আর দিন ও রাত্রির পরিমাণও সারা বছর সমান থাকে। উওর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অয়ন বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের কাছে মিলিত হয়েছে। ফলে ইন্টার প্রপিক্যাল কনভাজেন্সের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রচণ্ড উত্তাপ। উত্তাপের আধিক্য এবং প্রচুর বাতাসে জলীয়বাষ্প এখানকার অধিবাসীদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। অত্যধিক উষ্ণতা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় তা উদ্ভিদের পক্ষে অনুকূল। তাই এখানে গভীর অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মাটি খুবই অনুর্বর। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং উত্তাপ খুব বেশি থাকার জন্য এখানকার মাটি দ্রুত ক্ষয় হয় এবং ধৌত প্রক্রিয়ার জন্য মাটির অধিকাংশ খনিজপদার্থ ভূ-অভ্যন্তরে চলে যায়। এখানকার উপজাতিদের খাদ্যে শর্করা এবং শ্বেতসার জাতীয় পদার্থের অভাব খুব বেশি থাকে। তাদের প্রধান খাদ্য ট্যাপিওকা, গাছগাছালির মূল, রাঙা আলু, ওল এবং চিনির দানা ও নিকৃষ্টমানের চাল। বাঁধাকপি, ফুলকপি, বীট, গাজর, শিম প্রভৃতির চাষ হয় না। তাই তাদের খাদ্যে ভিটামিনের বিশেষ করে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। বন থেকে শিকার করা পশুর মাংস ও মাছের পরিমাণও থাকে নামমাত্র_ যা শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। তাই এখানকার অধিবাসীদের খাদ্যে সুষম খাদ্যের যথেষ্ট অভাব দেখা যায়। ফলে অধিবাসীদের শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হতে পারে না। অপুষ্টি রোগ ঘরে ঘরে আশ্রয় নেয়। তাই এখানকার মানুষ খর্বকায়। এদের গড় দৈর্ঘ্য চার ফুটেরও কম। 

ফারহানা মাহমুদ তন্বী 
মুলসুত্র: http://www.bangladesh-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=College&pub_no=246&cat_id=3&menu_id=16&news_type_id=1&index=2

No comments: