Monday, December 20, 2010

বছরশেষে প্রজন্মের আলোচিত মুখ (উইকিলিকস ও এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ)

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত মুখ_উইকিলিকস ও এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০০৬ সালে জন্ম নেওয়া উইকিলিকস নামের নব্য এ প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ করেই আলোচনার শীর্ষে আসে দুনিয়া কাঁপানো সব গোপন তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে। বিভিন্ন দেশের গোপন তথ্য প্রকাশের এ কার্যক্রম শুরু করা হয় চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে। প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেশগুলোতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে যায়, দেখা দেয় নিরাপত্তা হুমকি। তবে আইনি সব জটিলতার ফাঁক খুঁজে অবশেষে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয় ৩৯ বছর বয়সী উইকিলিকস-এর এ প্রতিষ্ঠাতাকে। যিনি একাধারে সাংবাদিক, প্রকাশক, প্রোগ্রামার, একজন হ্যাকার এবং সর্বশেষ এই প্রজন্মের এক ভিন্ন প্রত্যয়ী মুখ। তাকে নিয়ে লিখেছেন প্রাঞ্জল সেলিম

অল্পবয়সেই এমন সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া লোকটির জন্ম অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের টাউনভ্যালিতে। তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটে ম্যাগনেটিক আইল্যান্ড নামক জায়গায়। জুলিয়ান তার শৈশবকালে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, সেই সুবাদে অনেক স্কুলেই তার পড়া হয়েছে। কখনও আবার তাকে ঘরে বসে মাস্টার দিয়ে পড়ালেখা চালাতে হয়েছে। শৈশবটা কেটেছে তার সংগ্রাম করে। ইউনিভার্সিটি পরিবর্তনের ব্যাপারেও তার যথেষ্ট খ্যাতি আছে। তিনি মোটামুটি ৬টির মতো ইউনিভার্সিটি বদল করেন। সেগুলোতে ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পদার্থ ও গণিত নিয়ে পড়ালেখা করেন। এবং শেষ পর্যন্ত ঠিকানা হয় মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি। তার নিজের যে ওয়েবসাইট, তাতে তিনি তার ২০০৫ সালের পদার্থ বিষয়ের প্রতিযোগিতার কথা উলেস্নখ করেন। সেই সাথে তার পড়াশোনার ব্যাখ্যাও সেখানে রাখেন। আরো জানা যায়, তিনি ফিলোসফি ও নিউরোসাইন্স নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। ১৩ বছর বয়সে মায়ের কাছ থেকে উপহার পাওয়া কম্পিউটারটি দিয়েই তার মূলত হাতেখড়ি। এরপর একটু বড় হলে শুরু করেন হ্যাকিং।

অ্যাসাঞ্জের পরিবার ভাগ্য

পরিবার বলতে তার প্রেমিকা ও একটি ছেলে। ছেলের নাম ড্যানিয়েল। ১৯৮৯ সালে তিনি তার প্রেমিকা ও ছেলে নিয়ে আবাসন শুরু করেন। কিন্তুু ১৯৯১ সালের হ্যাকিং বিষয়ক এক ঘটনার কারণে তাদের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়। পরের কয়েক বছর সেই সম্পর্কচ্ছেদের জের ধরে ছেলের কাস্টাডি নিয়ে মামলা চলতে থাকে।

ক্যারিয়ারের শুরুতে অ্যাসাঞ্জ

তার ক্যারিয়ার জীবনের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে হ্যাকিং প্রসঙ্গ। ১৯৮৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি তার জীবনের প্রথম হ্যাকিং করেন ম্যানড্যাস্ক পরিচয়ে। তার মতো আরো দুজন হ্যাকারের সাথে যুক্ত হয়ে তিনি ইন্টারন্যাশনাল সারভারসিভস নামে একটা গ্রুপ তৈরি করেন। ১৯৯১ সালে তার হ্যাকিং কার্যক্রম ধরা পরে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি তার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্যানাডিয়ান টেলিকমিউনিকেশান কোম্পানি ও সেই সাথে ছোট কিছু কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাক করেন। পরবর্তীতে 'আমি আর কখনোই হ্যাকিং করবো না' এমন শর্তে মুক্তি পান। এ ঘটনার পরে তার তেমন কোনো উলেস্নখযোগ্য খবর ছিলো না। ১৯৯৩ সাল নাগাদ তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম আইএসপি কোম্পানিতে যোগদান করেন। এরপর প্রায় এক বছর পর ১৯৯৪ থেকে শুরু করে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি মেলবোর্নের এক প্রোগ্রামিং কোম্পানিতে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের কাজ করেন। তিনি কয়েকটি নতুন ফাইল পঁ্যাচ তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। সেই সাথে তিনি 'আন্ডারগ্রাউন্ড :টেলস অব হ্যাকিং' ও 'ম্যাডনেস অ্যান্ড অবসেশন অন দ্য ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার' নামের দুটি বই লেখেন। ১৯৯৭ সালে তিনি লিনাক্সের জন্য নতুন কনসেপ্ট নিয়ে আসেন। তিনি আসলে চেয়েছিলেন এমন এটা সফটওয়্যা টুল বানাতে, যা হিউম্যান রাইটসের কাজে ব্যবহার হতে পারে। এরপর তিনি ওয়েব বেইজড সার্চ ইঞ্জিনের কাজে হাত দেন। সেই কাজ করতে গিয়ে তিনি ১৯৯৯ সালে রিকস ডট ওআরজি নামের একটা ডোমেইন কিনে রাখেন। কিন্তুু তিনি তখনও সেই ডোমেইন নিয়ে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন নি।

উইকিলিকসের জন্মের কথা

২০০৬, এক ইতিহাস গড়ার কারখানার সৃষ্টির বছর। উইকিপিডিয়া আমাদের সবার পরিচিত একটি নাম। এক বাক্যে বিশাল তথ্যের ভাণ্ডার। তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে দেশে জবাবদিহিতাকে শক্তিশালী ও সরকারের কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য একই পথে হাঁটা শুরু করা আরো একটি তথ্যভাণ্ডারের নাম উইকিলিকস। তবে তা শুধু গোপন তথ্য প্রকাশের ভাণ্ডার। এই ওয়েবসাইটটিও উইকিপিডিয়ার আদলে তৈরি। এর জন্মলগ্নেও ঘোষণা দেওয়া হয় যে, তা উইকিপিডিয়ারই গোপন এক ভার্সন। উইকিলিকসে কাজ করেন মোট ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৮ শত কমর্ী। উইকিলিকস নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলা যায়, এটা একটা সাধারণ সংস্থা, যা দিয়ে কোনো আয় হয় না। তাদের মূল লক্ষ্য জনসাধারণের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য ও খবর পেঁৗছে দেওয়া, যা সাধারণত সবার কাছে লুকিয়ে রাখা হয়। তাদের কাজের মূল অংশ হলো প্রমাণসহ সত্য প্রকাশ করা। প্রতিষ্ঠানটি নতুন হলেও খুব দ্রুতই এর বিস্তার ঘটেছে। ২০০৭-এ প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই তা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খবর প্রকাশ শুরু করে দেয়। সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে করা হয় এ খবরগুলো বিস্তরভাবে প্রচারের জন্য। আর এই কারণে উইকিলিকসকে প্রায়ই মুখোমুখি হতে হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যায়। খবরগুলো মুক্তভাবে প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়েছে প্রতিটা পদক্ষেপেই। কিন্তুু তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি নির্ভীকভাবে তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে এবং এখন পর্যন্ত করেই চলেছে। হিউম্যান রাইটসের শর্ত ধরেই এত কিছু_এমনটাই মনে করেন উইকিলিকসের সদস্যরা। সাইটে একটি আর্টিকেলের কথা বলা হয়েছে, যা সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহিত করে। সকলেরই জানার অধিকার আছে এবং বলার অথর্াৎ মতামত জানাবার অধিকার আছে। আর এই খবর সকলের কাছে পেঁৗছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে উইকিলিকস।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। কারণ, সম্প্রতি উইকিলিকস কিছু অধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ সম্পর্কে রয়েছে এমন গোপন কিছু তথ্য, যা দেশগুলোকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে। জানা গেছে, এই ঘটনায় হিলারি ক্লিনটন বাধ্য হয়েছেন সকলকে ফোন করে ক্ষমা চাইতে। ৫ ডিসেম্বর রোববার সর্বশেষ তথ্য ফাঁসের পর অবশ্য প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাজ নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। খবর সংগ্রহের বড় উৎস হিসেবে ধরা হয়েছে হ্যাকিং। এছাড়াও খবরের উৎস হিসেবে মার্কিন কিছু সিনিয়র কর্মকর্তারও জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সাবেক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ব্র্যাডলি ম্যানিং রয়েছেন এর পেছনে। ধারণা করা হচ্ছে, বিখ্যাত গায়িকা লেডি গাগার গানের সিডি থেকে গান সরিয়ে তাতে গোপন বার্তাগুলো তুলে নেওয়া হয় এবং পেঁৗছে দেওয়া হয় উইকিলিকসের তথ্যভাণ্ডারে। উলেস্নখ্য, শেষ পর্যন্ত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

উইকিলিকসের সত্যিকারের ডোমেইন নিয়ে অনিশ্চয়তা

মজার এক তথ্যে জানা গেছে যে, এ সত্য প্রকাশে নিভর্ীক প্রতিষ্ঠানটির অনলাইনে যে সংস্করণ আছে, তার ডোমেইনের (উইকিলিকস ডট ওআরজি) মালিক কে, তা এখনও অজানা। প্রতিসমানটির মূল ঠিকানাটি গত ৩ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে তা নতুন এক ঠিকানায় চলে গেছে, কিন্তু তথ্য প্রচার কাজ এখনও চলছে। ডট ওআরজি ঠিকানাটি একটা থার্ড পার্টির ঠিকানা দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছিল, যার আইডেনটিটি জানা নেই কারও। তবে এই সাইটের অসংখ্য ঠিকানা রয়েছে, এমনকি এতে যারা কাজ করে, তাদের নিজেদেরও নিজস্ব সাইট ঠিকানা রয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে অর্জিত কিছু পুরস্কারের কথা

অ্যাসাজ পল, দুনিয়ার বুকে সাড়া জাগানো এ মানুষটি বিভিন্ন সময়ে পুরস্কারও পেয়েছেন।

২০০৮ সালে ইকোনোমিস্ট পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাকে।

২০০৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া পুরস্কারটিও তার ভাগ্যে আসে।

২০১০ সালে স্যাম অ্যাডাম অ্যাসোসিয়েশন থেকে স্যাম অ্যাডাম অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় তাকে, অ্যাকাডেমিতে তার দক্ষতা ও কাজের জন্য। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পৃথিবীর ৫০ জন প্রভাবশালী মানুষের মধ্যে ২৩তম অবস্থানে আসেন। বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও তাকে নিয়ে লেখালেখি করা হয়। এমনকি রাশিয়া থেকে অফিসিয়ালি তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু হোয়াইট হাউস সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। তারা অভিমত দেয় যে, অ্যাসাজ এর আচরণ বেপরোয়া। নভেম্বরের শুরুর দিকে তার আলোচনা স্থান পায় উটনি রিডার নামক ম্যাগাজিনে, যাতে তার নাম আসে সেই সব ২৫ জন মানুষের মাঝে, যাদের কাজ পৃথিবীতে পরিবর্তন এনেছে। সবশেষে ৭ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের টাইমস ম্যাগাজিনে তাকে 'পারসন অব দ্য ইয়ার' আখ্যা দেওয়া হয়।

অ্যাসাঞ্জের সমালোচনা

শুধু যে সমর্থন ও স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন অ্যাসাঞ্জ, তা নয়। তাকে বিভিন্ন দেশের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে অসংখ্যবার। সেই সাথে শিকার হয়েছেন সমালোচনারও। তার সাংবাদিক পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। উইকিলিকস ওয়েবসাইটে যে নথিপত্র প্রকাশ করা হয়, তা সব সময় পুরোপুরি প্রকাশ করা হয় না। যেমন, ২০০৭ সালে বাগদাদে মার্কিন হেলিকপ্টার হামলায় প্রাণহানির যে ভিডিওচিত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল, তা ছিল কিছুটা সম্পাদিত। হেলিকপ্টার থেকে যাদের উপর হামলা চালানো হয়, তাদের একজনের হাতে ছিল রকেটচালিত গ্রেনেট লঞ্চার। কিন্তুু উইকিলিকসের প্রকাশিত চিত্রে ওই লোকের ছবি বাদ দেওয়া হয়। সেই অর্থে অনেকেই অ্যাসাঞ্জের কাজের পদ্ধতি নিয়ে সন্ধিহান। ফ্রিডম অব দ্য প্রেসের নির্বাহী পরিচালক লুসি ডালগ্রিস বলেছেন, 'ইহা সাংবাদিকতা নয়, তথ্যের বিতরণ মাত্র।' তবে অ্যাসাঞ্জও শক্ত ভাষায় এর জবাব দিয়েছেন, 'আমি সাংবাদিক কি না, তাতে কার কী যায় আসে। তথ্য প্রকাশই আমার মূল লক্ষ্য।'

বাংলাদেশও বাদ গেল না অ্যাসাঞ্জের তালিকা থেকে

জানা গেছে, ওয়েবভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রনীতিসহ গোটা বিশ্বের যে আড়াই লাখ নথি ফাঁস করার উদ্যোগ নিয়েছে, তার মধ্যে ২,১৮২টি ফাইল বাংলাদেশের। আরো বলা হয়, ১৯৬৬ সাল থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দেশটির ২৭৪টি দেশের দূতাবাসের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া নথি প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। সেই সম্পর্কিত লেখচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ৪৫টি দূতাবাস সেখানে স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে ৩৭ নম্বর স্থানে আছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

সার্বিক বর্তমান পরিস্থিতি

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আটক করা হলেও তার প্রতিষ্ঠানটির তথ্য প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়নি। তার সমর্থকেরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনটি সার্ভারের মাধ্যমে ক্রমাগত তথ্য প্রকাশ করেই চলেছে। সম্প্রতি জানা গেছে, তারা সুইডেনের মাস্টারকার্ড ব্যাংকিং ওয়েবসাইটগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়েছে। এক অর্থে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে অ্যাসেঞ্জকে আটকের প্রতিবাদ হিসেবে, এমনটাই জানা গেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।

সর্বশেষ খবর জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া তাকে কূটনৈতিক সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। সেই সাথে পল ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে গুপ্তহত্যা করা হলে আরো স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করা হবে। গোপনীয়তা ও সত্যের এ লড়াইয়ে কে জয়ী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে যাই ঘটুক, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, তিনি শুধু ২০১০ নন; বরং এক শতকের সব থেকে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হতে যাচ্ছেন।
 
মুলসুত্র: http://ittefaq.com.bd/content/2010/12/20/news0132.htm

No comments: