Monday, November 29, 2010

মৃত্যুশতবার্ষিকীর তলস্তয়

বিখ্যাত রাশিয়ান চিত্রশিল্পী ইলিয়া রেপিনের (১৮৪৪-১৯৩০) আঁকা ছবিতে জমিতে হালচাষ করছেন তলস্তয়
ঊনিশ শতকের সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ কাউন্ট লেভ নিকোলাইভিচ তলস্তয়, তাঁর ওয়ার অ্যান্ড পিস আর আনা কারেনিনার মতো কালজয়ী উপন্যাস দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন বিশ্বসাহিত্যকে, সমাজের সীমাহীন দারিদ্র্য আর অসমতা দেখে ব্যথিত হয়েছেন, অভিজাত ঘরে জন্ম (১৮২৮) নিয়েও তাই কলমকে ব্যবহার করেছেন অহিংস ও দরিদ্র-সেবার দর্শনে—যা অনুপ্রাণিত করেছে গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিংকে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই সাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২২ নভেম্বর ২০১০। মৃত্যুশতবর্ষে তলস্তয়ের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।

একবার এক জার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সুস্থ হয়ে ওঠার এমনই আকুল আগ্রহ তাঁর যে তিনি ঘোষণাই দিলেন, ‘যে আমাকে সুস্থ করে তুলতে পারবে, আমি তাকে আমার রাজত্বের অর্ধেক অংশই দিয়ে দেব।’ রাজ্যের সব জ্ঞানী লোক একত্রে মাথা খেলাতে শুরু করলেন, কেমন করে জারকে সারিয়ে তোলা যায়, কিন্তু কেউই নিশ্চিত নন। জ্ঞানী লোকদের একজন বললেন, সত্যিকার এক সুখী মানুষের গায়ের শার্ট যদি জারকে পরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে জার সেরে উঠবেন।
জার আদেশ করলেন, এখনই একজন সুখী মানুষ খুঁজে বের করা হোক। প্রজারা গোটা রাজত্বের ভেতরে ও বাইরে, যত জায়গায় যাওয়া সম্ভব, হন্যে হয়ে সুখী মানুষ খুঁজে বেড়াল। কিন্তু কারও সঙ্গেই সবকিছু পুরোপুরি মিলছে না। একজন ধনী তো স্বাস্থ্য খারাপ, অন্যজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কিন্তু পকেট ফাঁকা। একজনের স্বাস্থ্য ও সম্পদ দুই-ই আছে কিন্তু বউটা ভীষণ খিটিমিটি প্রকৃতির। কোনো না কোনো ব্যাপারে প্রত্যেকেরই ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে।
একদিন জার-পুত্র অনেক দূরের কোনো এলাকা থেকে রাজপ্রাসাদে ফিরছিল। হঠাৎ শুনল, একটি কুটিরের ভেতর থেকে কে যেন বলছে, ‘হে খোদা, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, তুমি আমাকে এমন চমৎকার একটি দিন দিয়েছ। আজ আমি কিছুটা কাজকর্ম করতে পেরেছি, খাওয়ার মতোও কিছু জুটেছে। এখন আমি শান্তির সঙ্গে একটা দারুণ ঘুম দেব। তোমার কাছে আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। আমার আর কোনো কিছুর প্রয়োজনও নেই।’
এই কথা শুনে জার-পুত্র আনন্দে চিৎকার করে উঠল, ‘সুখী মানুষ পেয়ে গেছি।’ প্রাসাদে ফিরে এসে রাজদূতদের অনেক টাকা-পয়সা দিয়ে বলল, সে যা চায় তা-ই দেবে, তার শার্টটা এখনই কিনে নিয়ে এসো।
রাজদূতেরা টাকা নিয়ে রওনা হলো, লিটল ফাদারকে (সে আমলে প্রজারা জারকে ছোট বাবাই বলত) সেই সুখী লোকটির শার্ট পরিয়ে রোগমুক্ত করা হবে। কিন্তু তারা যখন পৌঁছাল, দেখল সেই সুখী লোকটির পরার মতো কোনো শার্টই নেই।
তলস্তয় নিজের জন্যও চেয়েছিলেন সবচেয়ে সস্তা কফিন এবং সবচেয়ে সস্তা ও অতি সাধারণ কফিন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে অতিনন্দিত লেভ তলস্তয়ের মৃত্যুবার্ষিকী ২২ নভেম্বর ২০১০। মৃত্যুশতবর্ষে তলস্তয়ের জন্য অন্য আলোর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শতবর্ষ আগে: ১৯১০
ভার্জিনিয়া ওলফ মনে করেন, ১৯১০ (আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ডিসেম্বর ও কাছাকাছি সময়) মানব চরিত্র বদলে দিয়েছে। তিনি বলছেন, যখন মানুষের সম্পর্ক প্রভু ও ভৃত্যের, স্বামী ও স্ত্রীর, পিতামাতা ও সন্তানের মধ্যে পাল্টে যেতে থাকে, তখন একই সঙ্গে ধর্ম, আচরণ, রাজনীতি ও সাহিত্যেও মানুষের সম্পর্ক বদলে যায় (পিটার স্ট্যানস্কির ‘আর্লি ব্লুমসবারি অ্যান্ড ইটস ইন্টিমেট ওয়ার্ল্ড’)।

১৯১০-এ কী ঘটেছে?
তলস্তয় মৃত্যুবরণ করেছেন।
হ্যালির ধূমকেতু দেখা দিয়েছে।
চিত্রকলায় কিউবিজম বিকাশ লাভ করতে শুরু করেছে।
স্ট্যাভিনস্কির ব্যালে ‘দ্য ফায়ারবার্ড’ ইউরোপ মাতিয়ে তুলেছে। আধুনিকতার চাপ ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করেছে। পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্টদের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
আরও অনেক ঘটনা—অটোমান শাসনবিরোধী আন্দোলনে আলবেনিয়া স্বাধীন হয়েছে, নিহত হয়েছেন মিসরের প্রথম দেশীয় প্রধানমন্ত্রী বুট্রোস ঘালি, নতুন দেশ সাউথ আফ্রিকা ইউনিয়নের জন্ম, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মৃত্যু, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ভবনে বোমা বিস্ফোরণ এবং ২৭ জনের মৃত্যু, উড়োজাহাজের প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহার, অটোমোবাইল বিপ্লব, হেনরি ফোর্ডের ১০ হাজার গাড়ি বিক্রি, মার্ক টোয়েন এবং ও’হেনরির মৃত্যু।
সবকিছু ছাপিয়ে লেখালেখির জগতে কালো বর্ডারে মুদ্রিত হয়ে আছে তলস্তয়ের মৃত্যুর কথা।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রকাশক, পত্রপত্রিকা, রাইটার্স গিল্ড বিভিন্ন সময় সেরা বইয়ের সমীক্ষা চালিয়ে থাকে। নতুন সহস্রাব্দে একটি সিন্ডিকেটেড সমীক্ষায় ৫৪৪টি গ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর তা ১২৫-এ হ্রাস করা হয়। এর ওপর পুনরায় জরিপের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০টি গ্রন্থ। সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০০৭-এর জানুয়ারিতে (গ্রেটেস্ট বুক অব অল টাইম—লেভ গ্রসম্যান)।
১. আনা কারেনিনা—লেভ তলস্তয়, ২. মাদাম বোভারি—গুস্তাভ ফ্লবেয়র,
৩. ওয়ার অ্যান্ড পিস—লেভ তলস্তয়, ৪. লোলিটা—ভ্লাদিমির নবোকাভ, ৫. দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন—মার্ক টোয়েন, ৬. হ্যামলেট—উইলিয়াম শেকসপিয়ার, ৭. দ্য গ্রেট গ্যাটসবি—এফ স্কট ফিটজেরাল্ড, ৮. ইন সার্চ অব লস্ট টাইম—মার্শেল প্রাউস্ত, ৯. দ্য স্টোরিজ অব আন্তন শেখভ—আন্তন শেখভ, ১০. মিডলমার্চ—জর্জ এলিয়ট
সর্বশ্রেষ্ঠ দশের প্রথম তিনটির দুটোই লেভ তলস্তয়ের। আর শ্রেষ্ঠ দশের শীর্ষস্থানে তাঁরই অসামান্য সামাজিক উপন্যাস আনা কারেনিনা, যার সূচনাবাক্যটিই এমন : All happy families resemble one another, but each unhappy family is unhappy in its own way.

নোবেল পুরস্কার কমিটির পাপ
তলস্তয় পুরস্কার পাননি।
আলফ্রেড নোবেলের উইলে (১৮৯৫) নোবেল পুরস্কারের ঘোষণাটি আসে। প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯০১ সালে। তবে ১৮৯৮ সালেই গুজব রটে যায়, নোবেল কমিটি পুরস্কারের জন্য তলস্তয়কে বিবেচনা করছে। ব্যাপারটি তলস্তয় সম্ভবত বিশ্বাসও করেছিলেন। হায়াত মামুদের লেখা থেকে উদ্ধৃত করছি: ‘তলস্তয় সরাসরি সুইডেনের একটি কাগজে এই মর্মে চিঠি ছাপালেন যে পুরস্কার যদি তাঁকে দেওয়া হয়, তাহলে পুরস্কারের অর্থ এক হাজার রুবলের মতো, যেন দুখবোর সম্প্রদায়ের হাতে অর্পণ করা হয়। যা হোক, পুরস্কার দানের ব্যাপারটি জনশ্রুতি ছিল মাত্র। তখন তলস্তয় তাঁর “ফাদার সিয়ের্গি” ও “পুনরুত্থান” গ্রন্থ বিক্রীর সমস্ত অর্থ, মোট আশি হাজার রুবল, দুখবোরদের দান করলেন। যদিও বইটি প্রকৃতপক্ষে বেরোয়নি, তিনি পত্রিকা সম্পাদকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েছিলেন। ওই টাকায় জাহাজ কিনে সমগ্র দুখবোর সম্প্রদায় স্বদেশ ছেড়ে কানাডায় চলে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করে।
১৯০১ সালের পুরস্কার ঘোষিত হলো। প্রথম সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ফরাসি কবি সালি প্রুদম। একাডেমির এই সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত মনে করে সুইডিশ লেখকেরা তলস্তয়কে চিঠি লিখলেন। ২২ জানুয়ারি ১৯০২ তিনি জবাব দিলেন, ‘নোবেল পুরস্কার যে আমাকে দেওয়া হয়নি, তাতে আমি ভারি খুশি হয়েছি। প্রথমত, এত টাকা দিয়ে কী করতাম, সে সমস্যা থেকে আমাকে বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে; কারণ আমার বিবেচনায় অর্থ কেবল অশুভের দিকেই নিয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, আমি যাঁদের চিনি না, জানি না, এমন কত জ্ঞানীগুণী মানুষের সমবেদনা লাভের সম্মান ও সৌভাগ্য তো আমার হতো না।’
১৯১০ সালের পুরস্কার ঘোষণাকাল পর্যন্ত তলস্তয় বেঁচে ছিলেন। নোবেল কমিটি তাঁর নাম শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বিবেচনায় আনেনি। এ সময় আরও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন—থিওডোর মোমসেন (১৯০২), বিয়র্নস্টার্ন বিয়র্নসন (১৯০৩), ফ্রেডরিখ মিস্ত্রাল, ইয়োসে এশগ্যারে (১৯০৪), হেনরিক জিয়ানকাইভিকস (১৯০৫), গিওসু কার্দোচ্চি (১৯০৬), রুডিয়ার্ড কিপলিং (১৯০৭), রুডলফ ইউকেন (১৯০৮), সেলমা লেগারলফ (১৯০৯) এবং পাউল হেইসে (১৯১০)। বাদ পড়ে গেলেন তলস্তয়।
নোবেল পুরস্কার কমিটির ব্যর্থতা যখন আলোচনায় আসে তলস্তয়কে পুরস্কার দিতে না পারাটা কমিটির পাপ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আসছে। এ সময় বাদ পড়েছেন, সাহিত্যের আরও দুজন দিকপাল হেনরিক ইবসেন, এমিল জোলা ও আন্তন শেখভ। এমনকি মার্ক টোয়েন। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সালি প্রাদুম কবি হিসেবে এমনকি নিজ দেশ ফ্রান্সেও সুপরিচিত ছিলেন না। রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্স নোবেল পুরস্কারের জন্য তলস্তয়কে মনোনয়ন দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য সুইডিশ একাডেমিকে চিঠিও দেয়। আর একথা জানামাত্রই তলস্তয় ফিনল্যান্ডের লেখক ও তাঁর বন্ধু আরভিদ আর্নফেল্ডকে লিখলেন, ‘যদি ব্যাপারটা ঘটেই যায়, এটা প্রত্যাখ্যান করা আমার জন্য খুবই অপ্রীতিকর হবে। সে জন্যই আমি তোমার সহযোগিতা চাচ্ছি। সুইডেনের সঙ্গে তোমার যদি কোনো যোগাযোগ থেকে থাকে (আমার ধারণা আছে) তাহলে দেখো যেন আমাকে পুরস্কার দেওয়া না হয়। আমার বেলায় এই পুরস্কার এড়িয়ে যেতে আমি আশা করি, তুমি সর্বাধিক চেষ্টা করে যাবে।’
যাঁদের প্রাপ্য নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন দশজন শ্রেষ্ঠ লেখকের একটি তালিকা, সাইবার সূত্র থেকে প্রাপ্ত।
লেভ তলস্তয় (১৮২৮-১৯১০), মার্ক টোয়েন (১৮৩৫-১৯১০), জেমস জয়েস (১৮৮২-১৯৪১), মার্শেল প্রাউস্ত (১৮৭১-১৯২২), হেনরিক ইবসেন (১৮২৬-১৯০৬), এমিল জোলা (১৮৪০-১৯০২), রবার্ট ফ্রস্ট (১৮৭৪-১৯৬৩), ডব্লিউ এইচ অডেন (১৯০৭-১৯৭৩), ভ্লাদিমির নবোকভ (১৮৯৯-১৯৭৭) এবং হোর্হে লুই বোর্হেস (১৮৯৯-১৯৮৬)।
তলস্তয়কে নোবেল পুরস্কার দিতে সুইডিশ একাডেমির ব্যর্থতা তলস্তয়কে হেয় করতে পারেনি, হেয় করেছে পুরস্কারকে। আইজাক বাবেল বলেছেন, পৃথিবী নিজে যদি লিখতে পারত, তাহলে তলস্তয়ের মতো লিখত।

অর্থ ব্যবস্থাপনা
বাবা নিকোলাই ইলিচ তলস্তয়ের জমিদারি যখন, তখনকার রুশ বিধান অনুযায়ী ভাগ করা হলো, চার ভাইয়ের মধ্যে লেভই পেলেন সবচেয়ে কম উৎপাদনশীল অংশ। তাঁর ভাগে পড়ে চার হাজার একর জমি ও ৩৩০ জন ভূমি দাস। এই জমি পছন্দের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি যা বললেন তা হলো: যেহেতু তাঁর বেশি টাকার দরকার নেই, সেই জন্যই কম আয়ের ভাগটা নিয়েছেন।
তাঁর জীবনের লিখিত প্রতিজ্ঞাগুলোর একটি হচ্ছে যতটা সম্ভব কম খরচে জীবন পরিচালনা করা। অন্যটি নিজের সব কাজ নিজে করা।
হায়াৎ মামুদের লেখা থেকে উদ্ধৃত: ১৮৫১: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে (তলস্তয়) লিখেছেন, ‘আর্থিক উন্নতির যেসব উপায় আমার সামনে খোলা আছে তা হলো—১. জুয়াড়ির দলে যোগ দেওয়া এবং পয়সা থাকলে জুয়া খেলা, ২. সমাজের উঁচু মহলে ঘোরাফেরা করা এবং অবস্থা মনমতো হলে বিয়ে করে ফেলা, ৩. দামি একটা চাকরি বাগানো।’
উল্লেখ্য, জুয়ার নেশায় তলস্তয়কে প্রচুর টাকা হারতে হয়েছে। ১৮৫৭ সালেও জার্মানি এসে দিনরাত জুয়া খেলেছেন এবং সর্বস্বান্ত হয়ে পুনরায় ধার করে আবার জুয়ার টেবিলে হাজির হয়েছেন।
আবার এটাও সত্য, মৃত্যুর ১০ দিন আগে লাখ লাখ মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ফেলে অজানার উদ্দেশে যেদিন ঘর ছাড়েন, সেদিন তাঁর হাতে ছিল মাত্র ৩৯ রুবল। 
 
আন্দালিব রাশদী | তারিখ: ২৬-১১-২০১০
মুল সুত্র: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-11-26/news/111071 

No comments: