মঙ্গল গ্রহে কোনোকালে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধাগ্রস্ত বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য-তত্ত্ব আসছে। এর মধ্যেই একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, একসময় শুক্র গ্রহ পৃথিবীর মতোই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা ছিল। সত্যিই কি তাই?
একবার ভাবুন তো পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ। ঠিক এখানকার মতো পানি ও জীবনের অস্তিত্ব ছিল। ছিল নদ-নদী আর সাগরের বহমান ধারা। কিন্তু এখন সেটি দূর অতীত। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর অতি পরিচিত গ্রহ শুক্রের কথা। বিজ্ঞানীদের দাবি, শুক্র গ্রহে একসময় পৃথিবীর মতোই প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)-এর মহাকাশযান থেকে পাঠানো শুক্র গ্রহের বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা তাদের বক্তব্য প্রমাণের জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তারা বলেছেন, গ্রহটিতে যে সমস্ত খাত ও গহ্বরের সন্ধান মিলেছে, তা শুধু পানি প্রবাহের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, শুক্র গ্রহে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এই গবেষক দলটির পরিচালক, ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের বিশিষ্ট গ্রহ বিশারদ ডক্টর অ্যাড্রিয়ন জোনস্ এবং ওই একই প্রতিষ্ঠানের জিওলজিস্ট বা ভূতত্ত্ববিদ কেভিন পিকারিং বলেছেন, 'পৃথিবীর সঙ্গে একসময় শুক্র গ্রহেও হয়তো প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সেখানকার আবহাওয়া ও তাপমাত্রায় যদি পানির বৃদ্ধি ঘটতে পারে, তাহলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।'
অবশ্য এই গবেষক দল ছাড়াও আরও অনেকেরই ধারণা, শুক্র গ্রহে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। যদিও সাম্প্রতিককালের স্পেস মিশনগুলো যেসব তথ্য পাঠিয়েছে তাতে দেখা যায় সালফিউরিক এসিডের ঘন বায়ুমণ্ডলযুক্ত এই গ্রহের জমির তাপমাত্রা প্রায় ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস_ যা প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একেবারেই অনুপযুক্ত। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রায় ৫ লাখ বছর আগে, শুক্রের সুপ্ত আগ্নেয়গিরিগুলো সম্ভবত জীবন্ত হয়ে উঠে লাভা বর্ষণ শুরু করে দেয়। আর সে কারণেই সেখানে মারাত্মক গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর সূচনা হয়। ফলে প্রাণের অস্তিত্ব ক্রমেই বিলীন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় শুক্র গ্রহে প্রাণীগুলোর পরিবেশও।
১৯৯০ সালে নাসা'র ম্যাগেলান প্রোব শুক্রের যেসব ছবি পাঠিয়েছিল তাতে নদীর খাতের মতো প্রচুর চ্যানেলের ছবি ধরা পড়ে। তা দেখে বিজ্ঞানীদের তখন ধারণা হয়েছিল, গ্রহটির আগ্নেয়লাভা বয়ে যাওয়ার কারণেই বোধ হয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে উন্নত কম্পিউটারে একই ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগ্নেয়লাভায় গ্রোব বয়ে যাওয়া থেকে এত লম্বা চ্যানেল তৈরি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা শুক্রের যে এলাকাগুলোকে নদী ও সমুদ্র বলে চিহ্নিত করেছেন, সেই দুই সঙ্গমস্থলে দ্বীপ আকৃতির উঁচু কিছু জমিও খুঁজে পেয়েছেন নাসার প্র্রোবের পাঠানো ছবিতে।
শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আদৌ ছিল কিনা কিংবা সেখানে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাবে কিনা সেটা দূর গবেষণার বিষয়। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিমত এভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে পৃথিবীর পরিণতিও খুব একটা শুভ হবে না। বিজ্ঞানীদের ধারণায় শুক্র গ্রহ যেভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে ঠিক একইভাবে হয়তো মুছে যাবে পৃথিবী নামক এই গ্রহটির যাবতীয় প্রাণের অস্তিত্ব।
একবার ভাবুন তো পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ। ঠিক এখানকার মতো পানি ও জীবনের অস্তিত্ব ছিল। ছিল নদ-নদী আর সাগরের বহমান ধারা। কিন্তু এখন সেটি দূর অতীত। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর অতি পরিচিত গ্রহ শুক্রের কথা। বিজ্ঞানীদের দাবি, শুক্র গ্রহে একসময় পৃথিবীর মতোই প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)-এর মহাকাশযান থেকে পাঠানো শুক্র গ্রহের বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা তাদের বক্তব্য প্রমাণের জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তারা বলেছেন, গ্রহটিতে যে সমস্ত খাত ও গহ্বরের সন্ধান মিলেছে, তা শুধু পানি প্রবাহের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, শুক্র গ্রহে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এই গবেষক দলটির পরিচালক, ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের বিশিষ্ট গ্রহ বিশারদ ডক্টর অ্যাড্রিয়ন জোনস্ এবং ওই একই প্রতিষ্ঠানের জিওলজিস্ট বা ভূতত্ত্ববিদ কেভিন পিকারিং বলেছেন, 'পৃথিবীর সঙ্গে একসময় শুক্র গ্রহেও হয়তো প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সেখানকার আবহাওয়া ও তাপমাত্রায় যদি পানির বৃদ্ধি ঘটতে পারে, তাহলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।'
অবশ্য এই গবেষক দল ছাড়াও আরও অনেকেরই ধারণা, শুক্র গ্রহে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। যদিও সাম্প্রতিককালের স্পেস মিশনগুলো যেসব তথ্য পাঠিয়েছে তাতে দেখা যায় সালফিউরিক এসিডের ঘন বায়ুমণ্ডলযুক্ত এই গ্রহের জমির তাপমাত্রা প্রায় ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস_ যা প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একেবারেই অনুপযুক্ত। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রায় ৫ লাখ বছর আগে, শুক্রের সুপ্ত আগ্নেয়গিরিগুলো সম্ভবত জীবন্ত হয়ে উঠে লাভা বর্ষণ শুরু করে দেয়। আর সে কারণেই সেখানে মারাত্মক গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর সূচনা হয়। ফলে প্রাণের অস্তিত্ব ক্রমেই বিলীন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় শুক্র গ্রহে প্রাণীগুলোর পরিবেশও।
১৯৯০ সালে নাসা'র ম্যাগেলান প্রোব শুক্রের যেসব ছবি পাঠিয়েছিল তাতে নদীর খাতের মতো প্রচুর চ্যানেলের ছবি ধরা পড়ে। তা দেখে বিজ্ঞানীদের তখন ধারণা হয়েছিল, গ্রহটির আগ্নেয়লাভা বয়ে যাওয়ার কারণেই বোধ হয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে উন্নত কম্পিউটারে একই ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগ্নেয়লাভায় গ্রোব বয়ে যাওয়া থেকে এত লম্বা চ্যানেল তৈরি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা শুক্রের যে এলাকাগুলোকে নদী ও সমুদ্র বলে চিহ্নিত করেছেন, সেই দুই সঙ্গমস্থলে দ্বীপ আকৃতির উঁচু কিছু জমিও খুঁজে পেয়েছেন নাসার প্র্রোবের পাঠানো ছবিতে।
শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আদৌ ছিল কিনা কিংবা সেখানে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাবে কিনা সেটা দূর গবেষণার বিষয়। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিমত এভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে পৃথিবীর পরিণতিও খুব একটা শুভ হবে না। বিজ্ঞানীদের ধারণায় শুক্র গ্রহ যেভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে ঠিক একইভাবে হয়তো মুছে যাবে পৃথিবী নামক এই গ্রহটির যাবতীয় প্রাণের অস্তিত্ব।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে
লিখেছেন_ রণক ইকরাম।
লিখেছেন_ রণক ইকরাম।
সুত্র: http://www.bangladesh-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=01-11-2010&type=pratidin&pub_no=188&cat_id=3&menu_id=16&news_type_id=1&index=0
No comments:
Post a Comment