Monday, November 8, 2010

যমুনা আনন্দ পার্ক এর পেছনের মানুষ


সভ্যতার বিবর্তনের পথ ধরে মানুষ আজ অনেক দূর পাড়ি দিয়েছে। অর্জন করেছে অজেয় অনেক কিছুই। তেমনি এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন এ এইচ এম আতাউর রহমান। যমুনা রিসোর্টের একটি প্রোজেক্ট হলো যমুনা আনন্দ পার্ক। যেখানে আজ থেকে ৪ বছর আগে তিনি গার্ডেন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে এমএসসি পাস করে তিনি এখানে যোগদান করেন। এ পার্কটি সম্পূর্ণ বালু দিয়ে ভরাট করা ঠিক যেন মরুভূমির মতো, কোথাও কোথাও ৬৫ থেকে ৭০ ফুট বালু। প্রজেক্টটি করার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ড থেকে একদল গবেষক আসে। তারা এই বালুমাটি দেখে এই প্রজেক্টে কাজ করার অস্বীকৃতি জানায়। পরে এই প্রজেক্টে কাজ করতে ইচ্ছা পোষণ করেন এ এইচ এম আতাউর রহমান। তারপর শুরু করেন প্রজেক্টের কাজ। এখন যমুনা আনন্দ পার্কে এলে আপনি দেখবেন এখানে প্রকৃতি যেন সবুজ ঘাসের চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে। আর তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দুরন্ত যমুনা নদী। যার সৌন্দর্য এখানে জুগিয়েছে বাড়তি আনন্দ। এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ। এর মধ্যে রয়েছে হরীতকী, বহেরা, আমলকী, জামরুল, আম, পেয়ারা, জলপাই ইত্যাদি আর ফুলের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় শতাধিক রকমের গাছ।

এ পার্কে আরও আছে আধুনিক বিনোদন ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড যেমন_ মিনি ট্রেন, ব্যাটারি কার, প্যাডেল বোট, বৈদ্যুতিক দোলনা ইত্যাদি। কিন্তু আজ থেকে ৪ বছর আগে এখানে ছিল ভিন্ন এক পরিবেশ। এই প্রজেক্ট প্রসঙ্গে আতাউর বলেন, প্রজেক্টে আমি কাজ শুরু করি আজ থেকে ৪ বছর আগে। তখন এই জায়গাটা ছিল একটি বালুর স্তূপ। এই বালুমাটিকে আমি নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে গাছের উপযোগী করে গড়ে তুলেছি। পার্কটির সমস্ত জায়গায় সবুজ ঘাসে আবৃত করেছি। এখানে প্লান অনুপাতে বিভিন্ন ফলদ, ফুল, বনজ ও অর্নামেন্টাল উদ্ভিদ দিয়ে সাজিয়েছি। এখানে গার্ডেন ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে কালচার পদ্ধতিতে পর্যটকদের খাওয়ার জন্য বিভিন্ন সবজি যেমন লাউ, কুমড়া, বাঁধাকপি, তরমুজ, আলু, পিঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, লেটুস, পেঁপে, কলাসহ বিভিন্ন সবজি সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। শীতকে সামনে রেখে নতুন করে বাগানটাকে সাজানোর চেষ্টা করছি। শুধু তাই নয় এই পার্কে সুন্দর করার জন্য যা যা দরকার হয় আমি তাই করব। এবং প্রমাণ করে দেব যে, আমাদের দেশের ছেলেরাও অনেক কাজ করতে পারে।

আলী আফতাব 
তথ্য সুত্র: http://www.bangladesh-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=07-11-2010&type=pratidin&pub_no=194&cat_id=3&menu_id=16&news_type_id=1&index=0

No comments: