Monday, October 4, 2010

 তাহাদের বাড়ি |

আমাদের কারও বাড়ি আছে, কারও নেই। কেউ নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে থাকি, কেউ ভাড়া করা ঘরে, আবার কেউ খোলা আকাশের নিচে। কিন্তু বিশ্বের সেরা ধনীরা কেমন বাড়িতে থাকেন? ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী এখন বিশ্বের সেরা পাঁচ ধনীর বাড়ির বর্ণনাটা জেনে নিন—

স্লিমের সংগ্রহশালা
এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ কার্লোস স্লিমের বাড়িটিকে ‘বাড়ি’ না বলে ‘সংগ্রহশালা’ বলা ভালো। মেক্সিকো সিটিতে ছয় শয়নকক্ষের মাঝারি মানের একটা বাড়িতে বাস করেন এই লাতিন ব্যবসায়ী। এই বাড়িতে বসেই তাঁর বিশাল ব্যবসা-সাম্রাজ্যবিষয়ক সব সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। তবে বিপত্নীক স্লিমের বাড়ির আসল আকর্ষণ বিশ্বের নানা খ্যাতিমান চিত্রকর, ভাস্করদের তৈরি শিল্পকর্ম। দুনিয়ার অন্যতম বৃহত্ শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন তিনি নিজের বাড়িতেই, যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন ভ্যান গগ, ডিয়েগো রিভেরা বা জ্যা রেনোয়াঁরের মতো শিল্পীদের কাজ।

গেটসের প্রাসাদ
সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া বিশ্বসেরা ধনী বিল গেটস বসবাসের ক্ষেত্রে মোটেও স্লিমের নীতি অনুসরণ করেন না।
সিয়াটলের কাছে লেক ওয়াশিংটনের কিনারে পাহাড়ের পাদদেশে ৬৬ হাজার বর্গ ফুটের বিশাল এক কম্পাউন্ডে বসবাস মাইক্রোসফটের কর্ণধারের। এই বাড়িতে আছে ৬০ ফুটের এক সুইমিং পুল। তাতে আবার পানির নিচেই ‘মিউজিক সিস্টেম’ বসানো! আছে আড়াই হাজার বর্গ ফুটের ব্যক্তিগত জিম, আছে এক হাজার বর্গ ফুটের খাবারঘর।
একেই না ধনী লোকের বাড়ি বলে!

বাফেটের সাদাসিধে জীবন
সেই ১৯৫৮ সালে ৩১ হাজার ৫০০ ডলারে কেনা মাঝারি মানে বাড়িতেই থাকেন বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্পদের মালিক ওয়ারেন বাফেট।
ছয় হাজার বর্গ ফুটের এই বাড়িটিতে শোয়ার ঘর আছে পাঁচটি। এমনিতে খুব সাদাসিধে বাসভবন হলেও বাফেটের প্রয়োজনীয় সবকিছুই এই বাড়িতে আছে। এই ৭৯ বছর বয়সেও নিজেকে ফিট রাখার জন্য বাড়িতে শরীরচর্চার উপকরণ তো রেখেছেনই, সঙ্গে রেখেছেন একটা হ্যান্ডবল কোর্টও।

আম্বানির টাওয়ার
মুকেশ আম্বানি বাড়ি বানাননি, বানিয়েছেন টাওয়ার—আন্তিলা টাওয়ার। ২৭ তলা এই টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের আলতামাউন্ট রোডে।
চার লাখ স্কয়ার ফুটের এই ভবনটি নকশা করার অনুপ্রেরণা ছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। ভবনের কোনো এক তলার সঙ্গে আরেক তলার নকশায় মিল নেই। অনুমান করা হয়, এই টাওয়ার তৈরিতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসেবে আন্তিলা টাওয়ারকে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যায়বহুল আবাসিক ভবন বলে মানা হয়।

মিত্তালের ‘তাজমহল’
ভারতীয় রীতি অনুসারেই কেনসিংটনের এক বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকেন লক্ষ্মী মিত্তাল। ২০০৪ সালে ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এই বাড়ি তৈরি করেন মিত্তাল। বাড়ির একপাশে কেনসিংটন প্যালেস, অন্যপাশে ব্রুনাইয়ের সুলতানের প্রাসাদ!
মিত্তালের এই বাড়িতে বিলাস-ব্যসনের কোনো অসুবিধাই নেই। পুল, জিম সবই আছে।
সবচেয়ে বড় তথ্য হলো, মিত্তালের এই প্রাসাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে অতি উন্নত মানের মার্বেল পাথর। বলা হচ্ছে, তাজমহল তৈরিতে যে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে, সেই একই মানের পাথর ব্যবহার করেছেন মিত্তাল!
 সুত্র: প্রথম আলো  তারিখ: ১৯-০৩-২০১০

No comments: