কিন্তু সূর্যগ্রহণ শুরু হতেই বদলে গেল সব। বেলা ১০টার দিকে সূর্যগ্রহণ শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে পাখিদের সব কলতান একেবারে থেমে গেল। কয়েক মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল বিশাল বন।
এত দিন পর ঢাকার এই কাকটির ছবি দেখে সেই সূর্যগ্রহণের কথা মনে পড়ল। ঘটনার ব্যাখ্যা সেই একই—সূর্যগ্রহণে স্তব্দ হয়ে গেছে পাখিটি।
ছবির কাকটিকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে দিনে যেমন থাকে সে, তেমন স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দময় অবস্থায় নেই। মনে হচ্ছে, একটু বিভ্রান্ত ও বিপর্যস্ত।
তার ওপর প্রভাব পড়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের। বাংলাদেশের মানুষ ২০০৯ সালের ২২ জুলাই পর্যবেক্ষণ করেছে শতাব্দীর শেষ ‘পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ’। আর সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি দেখতে পেয়েছি ‘বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ’।
সূর্যগ্রহণে সূর্যের সাময়িক হারিয়ে যাওয়াটা আমরা দেখতে পাই। কিন্তু আমাদের আশপাশের প্রাণীদের ওপর তার প্রভাব আমরা খেয়াল করি না। একটু খেয়াল করলে এই ছবিগুলোর মতো আমরাও দেখতে পাব, সূর্যের এই সাময়িক হারিয়ে যাওয়ায় আমাদের চেনা প্রাণীগুলো কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করছে।
এর কারণ খুব জটিল কিছু নয়। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর একটি নির্দিষ্ট আবাস-পরিবেশ (‘হ্যাবিটেট’) থাকে। কাকেরও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির তাপমাত্রা প্রতিটি প্রাণীর জীবনযাপনকে খুবই প্রভাবিত করে।
সূর্যই যেহেতু আমাদের পৃথিবীর তাপের উত্স, তাই সূর্যের সাময়িক অনুপস্থিতি তাপের বিপুল তারতম্য ঘটায়। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ অবস্থার মধ্যে কক্সবাজারে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন কাকের মতো পাখিরা খুব বেশি করে ধরতে পারে।
সাধারণত সমুদ্রসৈকতে দেশের অন্যান্য ভূখণ্ডের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে ঢাকায়ও সেদিন উল্লেখযোগ্য তাপ হ্রাস পেয়েছিল।
আকস্মিক তাপমাত্রার পতনে শুধু কাক নয়, যেকোনো পাখিরই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কথা। একদিকে সে দেখছে হঠাত্ আলোর কমে যাওয়া; অন্যদিকে টের পাচ্ছে উত্তাপ কমে যাওয়া। দুয়ে মিলে একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে পাখিগুলো। ফলে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে এবং নিরাপত্তা খুঁজতে থাকে।
১৯৯৫ সালে সুন্দরবনের পাখিরাও তা-ই করেছিল। আর এদিন এই কাকটিও তা-ই করল।
এত দিন পর ঢাকার এই কাকটির ছবি দেখে সেই সূর্যগ্রহণের কথা মনে পড়ল। ঘটনার ব্যাখ্যা সেই একই—সূর্যগ্রহণে স্তব্দ হয়ে গেছে পাখিটি।
ছবির কাকটিকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে দিনে যেমন থাকে সে, তেমন স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দময় অবস্থায় নেই। মনে হচ্ছে, একটু বিভ্রান্ত ও বিপর্যস্ত।
তার ওপর প্রভাব পড়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের। বাংলাদেশের মানুষ ২০০৯ সালের ২২ জুলাই পর্যবেক্ষণ করেছে শতাব্দীর শেষ ‘পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ’। আর সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি দেখতে পেয়েছি ‘বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ’।
সূর্যগ্রহণে সূর্যের সাময়িক হারিয়ে যাওয়াটা আমরা দেখতে পাই। কিন্তু আমাদের আশপাশের প্রাণীদের ওপর তার প্রভাব আমরা খেয়াল করি না। একটু খেয়াল করলে এই ছবিগুলোর মতো আমরাও দেখতে পাব, সূর্যের এই সাময়িক হারিয়ে যাওয়ায় আমাদের চেনা প্রাণীগুলো কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করছে।
এর কারণ খুব জটিল কিছু নয়। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর একটি নির্দিষ্ট আবাস-পরিবেশ (‘হ্যাবিটেট’) থাকে। কাকেরও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির তাপমাত্রা প্রতিটি প্রাণীর জীবনযাপনকে খুবই প্রভাবিত করে।
সূর্যই যেহেতু আমাদের পৃথিবীর তাপের উত্স, তাই সূর্যের সাময়িক অনুপস্থিতি তাপের বিপুল তারতম্য ঘটায়। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ অবস্থার মধ্যে কক্সবাজারে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। তাপমাত্রার এই পরিবর্তন কাকের মতো পাখিরা খুব বেশি করে ধরতে পারে।
সাধারণত সমুদ্রসৈকতে দেশের অন্যান্য ভূখণ্ডের তুলনায় তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে ঢাকায়ও সেদিন উল্লেখযোগ্য তাপ হ্রাস পেয়েছিল।
আকস্মিক তাপমাত্রার পতনে শুধু কাক নয়, যেকোনো পাখিরই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কথা। একদিকে সে দেখছে হঠাত্ আলোর কমে যাওয়া; অন্যদিকে টের পাচ্ছে উত্তাপ কমে যাওয়া। দুয়ে মিলে একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে পাখিগুলো। ফলে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে এবং নিরাপত্তা খুঁজতে থাকে।
১৯৯৫ সালে সুন্দরবনের পাখিরাও তা-ই করেছিল। আর এদিন এই কাকটিও তা-ই করল।
সুত্র: প্রথম আলো। রেজাউর রহমান | তারিখ: ২২-০১-২০১০
No comments:
Post a Comment