আমার বাদবাকি ‘প্রকৃত সম্পত্তি’ নিম্নোক্তভাবে বণ্টিত হবে—সম্পত্তির সমপরিমাণ পুঁজি আমার মনোনীত ব্যক্তি কোনো নিরাপদ খাতে বিনিয়োগ করবেন। এ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ প্রতিবছর মানবকল্যাণে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হবে। ওই লভ্যাংশ সমান পাঁচ ভাগে ভাগ করে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বিতরণ করা হবে। এক অংশ যিনি পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করেছেন তিনি পাবেন, আর এক ভাগ পাবেন যিনি রসায়নশাস্ত্রে অনুরূপ কৃতিত্বপূর্ণ কিছু করেছেন। শারীর ও চিকিত্সাবিদ্যার ক্ষেত্রে যাঁর আবিষ্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে, তিনি পাবেন আরেক অংশ। সাহিত্য ক্ষেত্রে যাঁর কাজ মানবের আদর্শকে সবচেয়ে দারুণভাবে চিত্রায়িত করেছে, তিনি পাবেন এর এক অংশ। যিনি জাতিতে জাতিতে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন, যুদ্ধ বন্ধে বা নিরস্ত্রীকরণে এবং শান্তির প্রচার ও প্রসারে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন, তিনি পাবেন আরেক অংশ।
পদার্থ ও রসায়নবিদ্যার ক্ষেত্রে সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমি এ পুরস্কার দেবে, শারীরবিদ্যা ও চিকিত্সাশাস্ত্রের ক্ষেত্রে এ দায়িত্ব পালন করবে স্টকহোমের ক্যারোলাইনা ইনস্টিটিউট, সাহিত্য পুরস্কারের জন্য স্টকহোম একাডেমি দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে এবং নরওয়েজীয় সংসদ মনোনীত পাঁচজনের একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ীকে খুঁজে বের করবে।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আরও বলতে চাই, পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয়তা কোনো বিবেচ্য বিষয় হবে না।
পদার্থ ও রসায়নবিদ্যার ক্ষেত্রে সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমি এ পুরস্কার দেবে, শারীরবিদ্যা ও চিকিত্সাশাস্ত্রের ক্ষেত্রে এ দায়িত্ব পালন করবে স্টকহোমের ক্যারোলাইনা ইনস্টিটিউট, সাহিত্য পুরস্কারের জন্য স্টকহোম একাডেমি দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে এবং নরওয়েজীয় সংসদ মনোনীত পাঁচজনের একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ীকে খুঁজে বের করবে।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আরও বলতে চাই, পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয়তা কোনো বিবেচ্য বিষয় হবে না।
সুত্র: প্রথম আলো। তারিখ: ১৬-১০-২০০৯
No comments:
Post a Comment