চাঁদে নাকি বসত গড়বে মানুষ। মঙ্গল গ্রহে চলছে জরিপ। পৃথিবী জয় করে মানুষ এখন হাতের মুঠোয় পুরতে চাইছে বিশ্বজগত্। কিন্তু এখনো এমন কিছু রহস্য আছে, যেগুলো যুগ যুগ ধরেই অমীমাংসিত। আবার কোনোটার মীমাংসা হয়ে গেলেও কিছু লোক সমাধান মানতে নারাজ। সেই সব রহস্য নিয়ে আমাদের এই লেখা।
কোথায় ইনকা সভ্যতার ধনসম্পদ
অনুসন্ধিত্সু মানুষ পৃথিবীর অদ্ভুতুড়ে রহস্যময় ঘটনাগুলোর কোনোটিই কখনো ছাড় দেয়নি। রহস্য যতই গভীর হয়েছে, মানুষ ততই আগ্রহী হয়েছে রহস্য সমাধানে। যতই জটিল আর ভয়ংকর হয়, ততই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে কিছু রহস্য ঠিকই সবাইকে কাঁচকলা দেখিয়ে পার পেয়ে গেছে। যেমন পেরুর বিখ্যাত ইনকা সভ্যতার বিশাল রত্ন ভান্ডার! কোথায় লুকিয়ে আছে এই সাত রাজার ধন! এ প্রশ্নের উত্তর নেই।
যুগের পর যুগ ধরে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আমেরিকার এই প্রাচীন সমৃদ্ধ সভ্যতার খোঁজ করে গেছেন। বিধ্বংসী স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা বারবার আঘাত হেনেছিল ইনকাদের প্রাচুর্যে। তারা লুট করেছে, হত্যা করেছে, আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ইনকা সভ্যতায় সমৃদ্ধ শহরগুলো। সে জন্যই বিশেষজ্ঞদের হাতে খুব অল্প প্রমাণাদি ও তথ্য এসে পৌঁছায়। ১৫২৭ সালে এক মহামারি ইনকা সভ্যতায় কালো মেঘের ছায়া বয়ে আনে। মারা যান রাজা ও তাঁর উত্তরসূরি ছেলে। রাজার অন্য দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসনের লড়াইয়ে দেশে দেখা দেয় রক্তাক্ত এক গৃহযুদ্ধ। জিতে যান অ্যাটাহুয়ালপা। সুখ অবশ্য তাঁর কপালে জোটেনি। তাঁকে ১৫৩২ সালে স্প্যানিশ যোদ্ধা ফ্রান্সিস পিজারো হারিয়ে দেন। পিজারো নামমাত্র রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসান অ্যাটাহুয়ালপার শত্রু মানকোকে। নতুন রাজা অবশ্য কখনোই রাজার সন্মান পাননি। তাই প্রতিহিংসায় মেতে ওঠে মানকো। ইনকা রাজার সোনার মূর্তি এনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভিলকাবাম্বা শহরের পাহাড়ে হারিয়ে যান মানকো ও তার শক্তিশালী সেনারা। এরপর বহু বছর ধরে মানকো ও তাঁর ছেলেদের সঙ্গে ইনকা সভ্যতার সিংহাসন জয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে স্প্যানিশ যোদ্ধাদের। এর মধ্যে কারও পক্ষেই আর সেই ভিলকাবাম্বা কিংবা ভিটেকাস নামের শহর দুটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্প্যানিশ কলোনির মানচিত্রেও শহর দুটির উল্লেখ নেই। কিন্তু এর মাঝেই লুকিয়ে আছে ইনকা সভ্যতার বিশাল রত্ন-ভান্ডার। ইনকার শেষ রাজা এ শহরেই পুঁতে রেখেছেন অমূল্য ধনসম্পদ। ১৭৬৮। ধারণা করা হয়, আপুরিমাক নদীর অববাহিকায় চোককেকিরোই প্রাচীন ভিলকাবাম্বা শহরটি। এ খবর নিয়ে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ বিংহাম খোঁজ শুরু করেন ১৯০৯ সালে। প্রথমে বিফল হয়ে পুনরায় ইতিহাস ঘেঁটে শুরু করেন
দ্বিতীয় অভিযান। পথে দেখা হয় এক ইন্ডিয়ানের সঙ্গে। তার সহযোগিতায় উরুবাম্বা থেকে দুই হাজার ফুট ওপরে এক প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান বিংহাম। তবে এ শহরই যে ভিলকাবাম্বা, সেটার অবশ্য প্রমাণ নেই। ১৯৬৪-৬৫ সালে জেনারেল সাভোয় বিংহামের অভিযাত্রার শেষ থেকে তাঁর অভিযান শুরু করেন। লক্ষ্য ছিল, ধনসম্পদের খোঁজ। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। তবে সাভোয় শেষমেশ এই বলে গিয়েছিলেন, ইস্পিরিতো পাম্পা শহরটিই সেই ভিলকাবাম্বা। সাভোয়ের এক সহযাত্রী পরে আরেকটি হারানো প্রাচীন শহর আবিষ্কার করেন। তবে কোথাও ইনকাদের ধনসম্পদের কানাকড়ির কিছুই মেলেনি। তবে ইনকা সভ্যতার প্রাচুর্যের ঠিকানা মিলেছে। কিন্তু তাতেও তৃপ্তি মেলেনি। এ শহরগুলো কী ভিলকাবাম্বা? তবে কোথায় সেই সাতরাজার ধন? সেগুলো তো স্প্যানিশদের ঘরে যায়নি। তাহলে অবশ্যই সেগুলো আছে কোথাও। খুঁজতে বেরোবেন নাকি?
ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিখ্তী সানী | তারিখ: ২৯-০১-২০১০
কোথায় ইনকা সভ্যতার ধনসম্পদ
অনুসন্ধিত্সু মানুষ পৃথিবীর অদ্ভুতুড়ে রহস্যময় ঘটনাগুলোর কোনোটিই কখনো ছাড় দেয়নি। রহস্য যতই গভীর হয়েছে, মানুষ ততই আগ্রহী হয়েছে রহস্য সমাধানে। যতই জটিল আর ভয়ংকর হয়, ততই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে কিছু রহস্য ঠিকই সবাইকে কাঁচকলা দেখিয়ে পার পেয়ে গেছে। যেমন পেরুর বিখ্যাত ইনকা সভ্যতার বিশাল রত্ন ভান্ডার! কোথায় লুকিয়ে আছে এই সাত রাজার ধন! এ প্রশ্নের উত্তর নেই।
যুগের পর যুগ ধরে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আমেরিকার এই প্রাচীন সমৃদ্ধ সভ্যতার খোঁজ করে গেছেন। বিধ্বংসী স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা বারবার আঘাত হেনেছিল ইনকাদের প্রাচুর্যে। তারা লুট করেছে, হত্যা করেছে, আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ইনকা সভ্যতায় সমৃদ্ধ শহরগুলো। সে জন্যই বিশেষজ্ঞদের হাতে খুব অল্প প্রমাণাদি ও তথ্য এসে পৌঁছায়। ১৫২৭ সালে এক মহামারি ইনকা সভ্যতায় কালো মেঘের ছায়া বয়ে আনে। মারা যান রাজা ও তাঁর উত্তরসূরি ছেলে। রাজার অন্য দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসনের লড়াইয়ে দেশে দেখা দেয় রক্তাক্ত এক গৃহযুদ্ধ। জিতে যান অ্যাটাহুয়ালপা। সুখ অবশ্য তাঁর কপালে জোটেনি। তাঁকে ১৫৩২ সালে স্প্যানিশ যোদ্ধা ফ্রান্সিস পিজারো হারিয়ে দেন। পিজারো নামমাত্র রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসান অ্যাটাহুয়ালপার শত্রু মানকোকে। নতুন রাজা অবশ্য কখনোই রাজার সন্মান পাননি। তাই প্রতিহিংসায় মেতে ওঠে মানকো। ইনকা রাজার সোনার মূর্তি এনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভিলকাবাম্বা শহরের পাহাড়ে হারিয়ে যান মানকো ও তার শক্তিশালী সেনারা। এরপর বহু বছর ধরে মানকো ও তাঁর ছেলেদের সঙ্গে ইনকা সভ্যতার সিংহাসন জয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে স্প্যানিশ যোদ্ধাদের। এর মধ্যে কারও পক্ষেই আর সেই ভিলকাবাম্বা কিংবা ভিটেকাস নামের শহর দুটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্প্যানিশ কলোনির মানচিত্রেও শহর দুটির উল্লেখ নেই। কিন্তু এর মাঝেই লুকিয়ে আছে ইনকা সভ্যতার বিশাল রত্ন-ভান্ডার। ইনকার শেষ রাজা এ শহরেই পুঁতে রেখেছেন অমূল্য ধনসম্পদ। ১৭৬৮। ধারণা করা হয়, আপুরিমাক নদীর অববাহিকায় চোককেকিরোই প্রাচীন ভিলকাবাম্বা শহরটি। এ খবর নিয়ে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ বিংহাম খোঁজ শুরু করেন ১৯০৯ সালে। প্রথমে বিফল হয়ে পুনরায় ইতিহাস ঘেঁটে শুরু করেন
দ্বিতীয় অভিযান। পথে দেখা হয় এক ইন্ডিয়ানের সঙ্গে। তার সহযোগিতায় উরুবাম্বা থেকে দুই হাজার ফুট ওপরে এক প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান বিংহাম। তবে এ শহরই যে ভিলকাবাম্বা, সেটার অবশ্য প্রমাণ নেই। ১৯৬৪-৬৫ সালে জেনারেল সাভোয় বিংহামের অভিযাত্রার শেষ থেকে তাঁর অভিযান শুরু করেন। লক্ষ্য ছিল, ধনসম্পদের খোঁজ। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। তবে সাভোয় শেষমেশ এই বলে গিয়েছিলেন, ইস্পিরিতো পাম্পা শহরটিই সেই ভিলকাবাম্বা। সাভোয়ের এক সহযাত্রী পরে আরেকটি হারানো প্রাচীন শহর আবিষ্কার করেন। তবে কোথাও ইনকাদের ধনসম্পদের কানাকড়ির কিছুই মেলেনি। তবে ইনকা সভ্যতার প্রাচুর্যের ঠিকানা মিলেছে। কিন্তু তাতেও তৃপ্তি মেলেনি। এ শহরগুলো কী ভিলকাবাম্বা? তবে কোথায় সেই সাতরাজার ধন? সেগুলো তো স্প্যানিশদের ঘরে যায়নি। তাহলে অবশ্যই সেগুলো আছে কোথাও। খুঁজতে বেরোবেন নাকি?
ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিখ্তী সানী | তারিখ: ২৯-০১-২০১০
No comments:
Post a Comment