স্নোবার্ড
এবার দা ভিঞ্চির সেই নকশার ওপর ভিত্তি করে হেলিকপ্টার ধরনের বিমান তৈরি করে আকাশে ওড়ালেন টড রিচার্ট। তিনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র।
‘স্নোবার্ড’ নামের বিমানটি অন্টারিওর টটেনহ্যামের গ্রেট লেকস গ্লাইডিং ক্লাবে ওড়ানো হয়। ১৯ দশমিক ৩ সেকেন্ড আকাশে থেকে এটি ১৪৫ মিটার পথ ওড়ে। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রদের নিয়ে টানা চার বছর কাজ করে বিমানটি তৈরি করেছেন রিচার্ট।
ইঞ্জিনবিহীন বিমান বানিয়ে এর আগেও অনেকে আকাশে ওড়ার চেষ্টা করেছেন। তবে ওই সব বিমান উড্ডয়নের পর আকাশে শুধু যতক্ষণ পারে ভেসে থাকত। টড রিচার্ট ও তাঁর দল দাবি করেছেন, তাঁদের বিমানটি শুধু ভেসে থাকা নয়, শক্তি প্রয়োগ করে উড়ে চলতে পারে।
ইঞ্জিনবিহীন স্নোবার্ড চলে পাখির মতো পাখা ঝাপটে। এ জন্য বিশেষ ধরনের পাখা তৈরি করা হয়েছে। প্যাডেল করে তা নাড়াতে হয়। সহজে যাতে ভাসতে পারে, সে জন্য এর ওজন কম রাখা হয়েছে। কার্বন ফাইবার, হালকা কাঠ ও ফোম দিয়ে তৈরি বিমানটির ওজন ৪৩ কেজি। তবে পাখা দুটি বিশাল। প্রতিটি লম্বায় ৩২ মিটার, যা বোয়িং ৭৩৭ বিমানের প্রায় সমান।
গত গ্রীষ্মে এই বিমান ওড়াতে গিয়ে টড রিচার্টের আট কেজি ওজন কমেছে। তিনি বলেন, যাতায়াতে ব্যবহারের জন্য এ বিমান নয়। এটি তৈরি করা হয়েছে নিজের শরীর এবং মনের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।
দা ভিঞ্চির ওই রেখাচিত্রকে অনেকে আধুনিক হেলিকপ্টারের পেছনকার প্রেরণা মনে করেন। বিবিসি।
সুত্র: প্রথম আলো। | তারিখ: ২৭-০৯-২০১০
1 comment:
হুম
Post a Comment