Wednesday, October 6, 2010

বর্ষপঞ্জি-বৃত্তান্ত

মেক্সিকোতে অবস্থিত মায়ানদের পিরামিড ক্যালেন্ডার মেক্সিকোতে অবস্থিত মায়ানদের পিরামিড ক্যালেন্ডার

অক্টোবর বিপ্লবটা কী মাসে হয়েছিল, বলুন তো?
দাঁড়ান, আগেই হাসবেন না। আগে বইয়ের পাতাটা একটু উল্টে দেখুন। দিব্যি লেখা আছে, ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর রাশিয়ায় ‘অক্টোবর বিপ্লব’ হয়েছিল। তাহলে? আবার অন্য কোথাও লেখা দেখবেন, বিপ্লবটা হয়েছিল ২৫ অক্টোবর!
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার আর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে গরমিলই এমন বিপদ তৈরি করেছে। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় প্রচলিত ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। পরের বছর থেকে দুনিয়ার আর সব দেশের মতো তারাও মেনে নিল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের দিন-তারিখে প্যাঁচ লেগে গেল।
এমন ‘প্যাঁচ’ লাগার উদাহরণ ইতিহাসে ভূরি ভূরি আছে। আর এসবই হয়েছে দুনিয়াজুড়ে হাজারো ক্যালেন্ডারের বিকাশের জন্য।
সভ্যতা বিকাশের সেই আদি যুগ থেকে দুনিয়াজুড়ে হাজার হাজার ক্যালেন্ডার বিভিন্ন সময় বিকশিত হয়েছে। মায়ান ক্যালেন্ডার, অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার, প্রাচীন মিশরীয় ক্যালেন্ডার বা আমাদের এই ভারতেরও অনেক বৈদিক ক্যালেন্ডার সময়ের সঙ্গে লড়তে না পেরে হারিয়েই গেছে।
আবার নানা রকম সংস্কার করে, সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলে টিকেও আছে অনেক ক্যালেন্ডার। টিকে আছে মানে, একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়েই টিকে আছে। আমাদের এই বাংলাদেশেই গ্রেগরিয়ান, হিজরি, বাংলা ও বৈদিক—কমপক্ষে এই চারটি ক্যালেন্ডার নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে।

চাঁদ-সূর্য-নক্ষত্রের হিসাব
১৯৫২ সালে ভারতের একটি জাতীয় ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য ‘ভারতীয় ক্যালেন্ডার রিফর্ম কমিটি’ নামে একটি কমিটি করা হয়েছিল। তারা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখল, ভারতজুড়ে বেদ-ভাষ্য সূর্য সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করে কমপক্ষে ৩০টি ভিন্ন ক্যালেন্ডার বিকশিত হয়েছে।
এ রকম ঘটনা শুধু ভারতেই নয়, সব সভ্যতাতেই ঘটেছে। প্রতিটা সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যার যার নিজস্ব ক্যালেন্ডারও বিকশিত হয়েছে। সেই মায়া সভ্যতায়ও বেশ সুসংগঠিত ক্যালেন্ডার ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।
মায়ানদের সেই ক্যালেন্ডারের প্রকৃতিও ছিল খুব মজার। নানা ধরনের দিন-তারিখের হিসাবের মধ্যে মায়ানরা পিরামিড দিয়েও নাকি বছরের হিসাব রাখত!
মেক্সিকোতে টিকে থাকা সেই পিরামিড-ক্যালেন্ডারের চারপাশে চার সারি সিঁড়ি আছে। প্রতিটি সারিতে ৯১টি ধাপ আর সবার ওপরে একটি প্লাটফর্ম মিলিয়ে মোট ৩৯৫টি ধাপ। মায়ানরা নাকি এর প্রতিটি ধাপকে আলাদা একটি দিনের প্রতীক হিসেবে গণনা করত। মায়ানদের আরও জটিল কিছু ক্যালেন্ডারের নিদর্শন পাওয়া গেছে, যেগুলো পরে আবার অ্যাজটেক সভ্যতায়ও চলে এসেছে।
আদি যুগে ক্যালেন্ডারের এমন বিকাশ ব্যাবিলনেও হয়েছিল। বিকাশ হয়েছিল গ্রিসেও। গ্রিসের মজাটা ছিল, এখানে প্রতিটা শহর নিজস্ব উপায়ে তৈরি নিজ নিজ বর্ষপঞ্জির হিসাব রাখত। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল রোমান ক্যালেন্ডার। এ ক্যালেন্ডারের বছর শুরু হতো মার্চিয়াস বা মার্চ মাস থেকে।
প্রাচীন ভারতেও বহু ধরনের বর্ষপঞ্জির হিসাব চালু ছিল। দিনক্ষণ গণনার ভারতীয় এসব ব্যবস্থাকে একটি গোছালো রূপ দেওয়া হয়েছিল সূর্য সিদ্ধান্ত নামের বেদভাষ্যে।
আদি ক্যালেন্ডারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত ক্যালেন্ডার মনে করা হয় মিসরীয় বর্ষপঞ্জিকে। দুনিয়ার আর সব আদি ক্যালেন্ডার মূলত চান্দ্রমাসের হিসাব রাখত। কারণ, চাঁদের বাড়া-কমাটা হিসাব করা সোজা ছিল।
কিন্তু মিসরীয়রা তাদের বছর হিসাব করত সূর্য দেখে। আসলে মিসরীয় সভ্যতা প্রকৃতি, বিশেষ করে নীলনদের ওপর খুব নির্ভরশীল ছিল। ফলে তারা সূর্যের অবস্থান ও ঋতুকে হিসাব করতে শিখে নেয়। বছরকে ছয়টি ঋতু ও ১২ মাসে ভাগ করে ফেলেছিল মিসরীয়রা। প্রতি মাসে ৩০টি করে দিন ছিল এবং বছরের শেষে অতিরিক্ত পাঁচটি উত্সবের দিন মিলিয়ে ৩৬৫ দিনের বছর!

চার্চের হিসাব
জুলিয়ান ও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে অনেকে একসঙ্গে ‘খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডার’ বলেন। যিশুখ্রিষ্টের জন্মের সালকে ১ খ্রিষ্টাব্দ ধরে এ ব্যবস্থা গণনা করা হয়। খ্রিষ্টের জন্মের বছরটিকে বলা হয় ১ খ্রিষ্টাব্দ, আগের বছরটি ১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। ইংরেজিতে খ্রিষ্টের জন্মের আগের সময়কে বলা হয়, বিসি (বিফোর ক্রাইস্ট) এবং খ্রিষ্টের জন্মের পরের সময়কে বলা হয় এডি (লাতিন আনো দোমিনি, অর্থাত্ আমাদের প্রভু যিশুর বছর)। সাল গণনা শুরুর এ সময়টা অবশ্য অনেক পরে, আধুনিক কালে এসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জুলিয়ান ও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে শুরুটা হয়েছিল রোমে। গ্রিসের আর সব শহরের মতো রোমেরও নিজস্ব একটি ক্যালেন্ডার ছিল। এই ক্যালেন্ডারে মাস ছিল ১০টি। বছর শুরু হতো মার্চিয়াস (মার্স) থেকে। এরপর মাসগুলোর নাম ছিল যথাক্রমে এপ্রিলিস, মাইয়াস, লুনিয়াস, কুইন্টিলিস, সেক্সটিলিস, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর। ১০ মাসে সব মিলিয়ে ৩০৪ দিন হতো।
এতে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছিল। একেক বছর দেখা যেত একেক ঋতুতে বছর শুরু বা শেষ হচ্ছে। এই জটিলতা দূর করতে রোমান সম্রাট নুমা পম্পিলাস বছরে আরও দুটো মাস যোগ করে দিলেন। আনুমানিক ৭১৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিনি এই ক্যালেন্ডারে লানুয়ারিয়াস (জানুয়ারি) ও ফেব্রুয়ারিয়াস মাস দুটি যোগ করেন।
পম্পিলাসের এই সংস্কারের পরও রোমান ক্যালেন্ডারে ১২ মাসে দিন ছিল ৩৫৫। মানে, তখনো রোমান ক্যালেন্ডার প্রকৃত সৌরবর্ষের চেয়ে পিছিয়ে আছে। এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন জুলিয়াস সিজার। আলেকজান্দ্রিয়ার জ্যোতির্বিদদের সঙ্গে দীর্ঘ শলাপরামর্শ করে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫ সালে তিনি চালু করেন ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’। অবশ্য অনেকে মনে করেন, মিসরে প্রচলিত প্রাচীন ক্যালেন্ডারকেই জুলিয়াসের আমলে অনুকরণ করা হয়।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে আধুনিক ক্যালেন্ডারের মতো ১২ মাস ছিল, ছিল ৩৬৫ দিন। প্রতি তিন বছর পর ফেব্রুয়ারিতে এক দিন অতিরিক্ত যোগ করা হতো। আধুনিক এই ক্যালেন্ডার চালু করতে গিয়ে দেখা গেল, চালুর বছরটিই প্রকৃত সৌরবর্ষ থেকে প্রায় ৬৭ দিন পিছিয়ে আছে! ফলে ওই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ইন্টার ক্যালিয়ারি’ নামে তিনটি বিশেষ মাস (২২ + ২৩ + ২২) ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ভালোই চলছিল। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এটাকেই সর্বজনীন বলে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু পনেরো শতকে এসে জ্যোতির্বিদেরা দেখলেন, গোলমাল লেগে গেছে। গোলমালটা লাগল ইস্টার উত্সব পালন নিয়ে।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছরে একটি লিপইয়ার থাকায় তার গড় দৈর্ঘ্য ছিল ৩৬৫.২৫ দিন। কিন্তু আসল সৌরবর্ষের দৈর্ঘ্য ৩৬৫.২৪২১৯ দিন (প্রায়)। ফলে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিল। একসময় দেখা গেল, ইউরোপের একেক চার্চ বছরের একেক সময় ইস্টার পালন করছে। এদের এক করতেই ৩৬৫.২৪২৫ দিন গড় ধরে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলো পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরির সময়ে।
নতুন এ ব্যবস্থায় প্রতি ৪০০ বছরে তিনটি লিপইয়ার কমিয়ে দেওয়া হলো। বলা হলো, শততম বছরটি (যেমন ১৯০০, ২০০০, ২১০০) যদি ৪০০ দিয়ে বিভাজ্য হয়, তবেই সেটি লিপইয়ার হবে, নইলে সাধারণ বছর।
১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক সনদে সই করে নতুন এই ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করলেন পোপ। প্রবর্তন হলে কী হবে, অনেকেই তা মেনে নিল না। বিশেষত প্রোটেস্টান্ট খ্রিষ্টানরা তীব্র বিরোধিতা করলেন এই ক্যালেন্ডারের। শুরুতে ক্যাথলিক কিছু দেশ মেনে নিল। এর পরের প্রায় ৪০০ বছর ধরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে পৃথিবীর নানা জায়গায় জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মেনে নেওয়ার ভেতর দিয়ে পৃথিবীজুড়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারেরই জয় হয়েছে।

আমাদের বছরের হিসাব
আমাদের বাংলায় নতুন বছর আসে পয়লা বৈশাখ। এ হিসাবটা আমরা করি মোগল সম্রাট আকবরের প্রবর্তিত বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী। ভারতের আরও অনেক ক্যালেন্ডারের মতো আমাদের এই ক্যালেন্ডারটিরও উত্স বেদভাষ্যসূর্য সিদ্ধান্ত।
মোগল সম্রাট আকবর নতুন এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহার শুরুর আগ পর্যন্ত ভারত-সম্রাটরা হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুল্ক আদায় করতেন। তাতে করে কৃষকেরা খুব বিপদে পড়ে যেতেন। কারণ, হিজরি সালের মাসগুলো কোনো ঋতুতে স্থির থাকে না। ফলে একেক বছর একেক ঋতুতে খাজনা আদায় করতে আসতেন কর্মকর্তারা।
এই বিপদ ঘোচাতে সে সময়ের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ সিরাজি দাঁড় করান একটি বর্ষপঞ্জি। মজার ব্যাপার হলো, এই বর্ষপঞ্জিটা ১ সাল থেকে শুরু হয়নি, বরং যে বছর চালু হলো, সে বছরের হিজরি সাল অনুযায়ী গণনা শুরু হয় ৯৬৩ সাল থেকে!
চান্দ্র ও সৌরবর্ষের সমন্বয়ে তৈরি এই ক্যালেন্ডার স্ব্বভাবতই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে পিছিয়ে পড়ত। এই গরমিল ঘোচানোর জন্য ১৯৬৬ সালে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহেক প্রধান করে বাংলা একাডেমী একটি সংস্কার কমিটি তৈরি করে। শহীদুল্লাহ্-কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করা হয়।
নতুন এই বর্ষপঞ্জিতে বছরে ৩৬৫ দিন রাখা হয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাস (বৈশাখ থেকে ভাদ্র) ৩১ দিন করে এবং শেষ সাত মাস (আশ্বিন থেকে চৈত্র) ৩০ দিন করে ঠিক করা হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের অধিবর্ষে (লিপইয়ার) বাংলা ক্যালেন্ডারের ফাল্গুন মাসে এক দিন বাড়তি যোগ করা হয়। আধুনিক এই বাংলা ক্যালেন্ডার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবহূত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা অন্যান্য প্রদেশে তা গ্রহণ করা হয়নি।
আমাদের দেশে ব্যবহূত আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্যালেন্ডার হলো হিজরি ক্যালেন্ডার। এই ক্যালেন্ডারটিকে এখন দুনিয়ার একমাত্র খাঁটি চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী পরিচালিত বর্ষপঞ্জি বলা হয়।
হিজরি ক্যালেন্ডারের জন্ম আরবে। কেউ মনে করেন, হিজরি বর্ষপঞ্জি চালুর আগেও আরবে একটি খাঁটি চান্দ্রবর্ষের হিসাব চালু ছিল। আবার অনেকে মনে করেন, হিজরি সাল চালুর আগে আরবে ছিল চন্দ্র ও সৌরবর্ষের মিশ্রণে একটি বর্ষপঞ্জি।
এই বর্ষপঞ্জি চালু করার পেছনে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর বসরার কর্মকর্তা আবু মুসা আল-আসয়ারি (রা.)-কে। তিনি খলিফাকে জানান, একটি সুনির্দিষ্ট বর্ষপঞ্জি না থাকায় আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে হজরত উমর (রা.) এই বর্ষপঞ্জিটি দাঁড় করান। প্রশ্ন দেখা দেয়, এই বর্ষপঞ্জির প্রথম দিনটি কীভাবে নির্ধারণ করা হবে। অনেক আলোচনার পর ঠিক করা হয়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের দিনটি থেকে এই সাল গণনা করা হবে। বলাই বাহুল্য, হিজরত থেকেই হিজরি সালের নামকরণ।
আকবরের বাংলা ক্যালেন্ডার চালু হওয়ার পরও এই বাংলাদেশে অন্যতম প্রচলিত ক্যালেন্ডার ছিল শকাব্দ বা শালিবাহন বর্ষপঞ্জি। ঠিক কোন সময় থেকে এই বর্ষপঞ্জি চালু হয়, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলেন, শকরাজা শালিবাহনের মৃত্যুর দিন থেকে শকাব্দ গণনা শুরু। আল-বিরুনির মতে, এই বর্ষপঞ্জি চালু করেন রাজা বিক্রমাদিত্য। তিনি এক যুদ্ধে কোনো এক শকরাজাকে হত্যা করার ব্যাপারটা স্মরণীয় করে রাখতেই নাকি কাজটা করেছিলেন। আবার কেউ বলেন, শক-বংশোদ্ভূত কুশান রাজা কনিস্ক এই সাল গণনা শুরু করেন।
বিচিত্র ব্যাপার হলো, একই সঙ্গে ভারতবর্ষের দুই অঞ্চলে দুই নিয়মে শকাব্দ পরিচালিত হতো। পশ্চিম ভারতের শকাব্দ পরিচালিত হয় চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী। আর পূর্ব ভারতের শকাব্দ চলে সৌরবর্ষ অনুযায়ী। 
 
দেবব্রত মুখোপাধ্যায় | তারিখ: ০৮-০১-২০১০
বাংলাপিডিয়া ওউইকিপিডিয়া অবলম্বনে

No comments: